অলৌকিক সংলাপ
যে শাড়িটা পড়লেই তানোটের রোদ হয়ে যাই ... মেলে দিলে
আলো আসে দোতালায় ... মাঝে মাঝে বড় ইচ্ছে করে ওকে
পঙ্গু করে ফেলে রাখি বিছানায় ; তাড়াহুড়ো শীর্ণ হয়ে যাক ...
বারবেলা যে ছেলেটা গোছাভরা চিঠি হাতে ঘোরে ... এ বাড়ি ...
সে বাড়ি... কখনো আমার বাড়ি ... ইচ্ছে করে বলে দিই ওকে
আমারটা নয় ... অন্য কারো চিঠি দিয়ে যাস ... অন্য কারো ...
অন্য কারো রাত ... ধূলোভরা মাঠ ... শিশুদের পায়ে পায়ে
মেঘ হয়ে উড়ে যাওয়া নীলিমায় ... যে উঠোনে ধরাবাঁধা নেই
খুনসুটি ফিরে ফিরে আসে ...একদিন ... ভুল করে
ডাকবাক্সে ফেলে দিয়ে যাস ..................
চেনাজানা আর যারা আছে ... মানে ছিল ... দারিয়াপোবার মাঠ ...
রাজাদের গড়খাই ...ভূষণডাঙার বন ... আসল চিঠি তাদের খবর চায় ;
মনে বড় ইচ্ছে হয় ... দু কলম লিখে দিই ...
“ যা কিছু খুঁজছ তুমি আজ –
যা কিছু চাইছো পেতে লেখনীর ছলে
যে বছর বড় বান এল ...
বৃষ্টি হল খুব ...
সব ... সবকিছু ঠাই নিল লুইটের জলে “
তার চেয়ে ... নিভে যাক তানোটের রোদ
এই ছেলে ... তুই যদি চাস ...অন্য কারো
নীল খাম ... মুখবাধা চিঠি ...ডাকবাক্সে রেখে দিয়ে যাস ।।
-- RAJAT PODDER
-- RAJAT PODDER
অনেক দিন লেখা পাই না। বারিষ গাঁ থেকে ডাক এসেছে, অথবা অন্য কারও চিঠি পেয়েছ। হতে পারে। তবু এই ঠিকানার আনাচে কানাচে মাঝে মাঝেই আসি। যদি হিজল কাঠের নাও জলের ছিটে দিয়ে যায়।
ReplyDelete